Ads Top

অনলাইনে ইনকামের এদিক সেদিক। কোন পথ আপনার জন্য সঠিক?[পর্ব-২]-ব্লগ থেকে ইনকাম

আসসালামু আলাইকুম।  আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেনআজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে ব্লগ। কিভাবে ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি হতে পারবেন একজন ব্লগার এবং সেই ব্লগ হতে আয় করতে পারবেন তা নিয়ে আপনাদের কিছু নির্দেশনা দিব। 



অনলাইন আয়ের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ক্ষেত্রে হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্লগিংতাহলে আপনি পারবেন না কেন?এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই হতে হবে প্রফেশনাল ব্লগার। প্রফেশনাল ব্লগার হতে হবে শুনেই হতাশ? হতাশ বা ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই।তবে হ্যাঁ, প্রফেশনাল ব্লগার আপনি নিশ্চয়ই এক রাতে হবেন না? যদি এই চিন্তা করেন তাহলে আপনার ব্লগার হওয়ার দরকার নেই,অন্য পথ খোজেন।প্রফেশনাল ব্লগার হতে আপনাকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী। আর নেশার মতো ব্লগিং করতে হবে বছরের পর বছর। তবেই আপনিও ব্লগিং করে হতে পারবেন মিলিনিয়ন মিলিয়ন ডলারের মালিক!
এ তো গেল মিলিয়ন ডলারের কথা! এবার আসি বাস্তব কথায়! বাংলাদেশে ব্লগিং এখনও সেই পর্যায়ে যায়নি। তাই বাংলা ব্লগিং -এ মিলিয়ন ডলার আয়ের কথা ঠিক এই মুহূর্তে ভাবলে পাগলের প্রলাপের সামিলই হবে! কিন্তু বাংলা ব্লগিং যাত্রা কেবল শুরু করেছে। আমরা আশা করছি আগামী কয়েক বছর পরে ব্লগিং জগতে বাংলা ব্লগিংও সম্মানিত আসন পাবে। আমাদের দেশের এখন ব্লগারদের অধিকাংশ শ্রেনিই ইংরেজী ব্লগিং -এর সাথে জড়িত। কারণ কি জানতে চান? আয়, আয় এবং আয়। জি, ব্লগিং করে আয় সম্ভব বলেই আমরা আজ নিজের ভাষার ব্লগিং ছেড়ে ইংরেজি ব্লগিং এর পথে। আমি এর বিরোধিতা করছিনা। তবে আশা করছি আমরা ইংরেজি ব্লগিং এর পাশাপাশি দেশের স্বার্থে বাংলা কন্টেন্ট সমৃদ্ধ করতে বাংলা ব্লগিং করব।
যারা ইতিমধ্যে প্রফেশনাল ব্লগিং -এ আছেন। তাঁরা সবাই ব্লগিং করে আয় সম্পর্কে অবগত। কিন্তু নবীন ব্লগারদের অনেক আগ্রহ ব্লগিং থেকে আয়ের প্রতি। তাদের কৌতুহল মেটাতে আজ লিখছি ব্লগিং করে আয়ের কৌশলসমূহ। আর ব্লগিং করে আয়ের এই পথগুলো মূলত ইংরেজী ব্লগিং কে ভিত্তি করেই লেখা। কারণটা ইতিমধ্যেই বলেছি।বাংলা ব্লগিং এখনও সেরকম পর্যায়ে যায়নি।

তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাই মূল কথায়। এবার চলুন জেনে নেই, কি কি পথে একজন ব্লগার আয় করে থাকেন-

ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয়



ব্লগিং করে আয়ের কথা ভাবলে এটি হবে আপনার প্রথম পথ। ব্লগ থেকে আয়ের প্রধান উৎসটি হলোই বিজ্ঞাপন। আপনার ব্লগে যথেষ্ট পরিমাণ ভিজিটরস আছে? তাহলে অ্যাডসেন্স, বিডভারটাইজার, রেভিনিউ হিটস, ইনফোলিংকস, ক্লিকসর, চিটিকার মতো অনেক অ্যাড কোম্পানির মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করিয়ে আয় করতে পারেন। এছাড়া অ্যাড কোম্পানিগুলো ছাড়াও আপনি সরাসরি বিজ্ঞাপন দাতাদের কাছেও ব্লগে অ্যাড স্পেস ভাড়া দিয়ে আয় করতে পারেন।  বাংলা ব্লগিং -এ যদি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়ের কথা বলি। তবে উল্লেখযোগ্য উদাহরন হবে টেকটিউনস। আপনারা জানেন টেকটিউনস সর্ববৃহৎ টেকনোলোজি বাংলা ব্লগ। যেখানে অসংখ্য বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে টেকটিউনস আয় করে থাকে। আশা করি, ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয়ের ব্যাপারটি পরিষ্কার।

>>অনলাইনে লাখ টাকা ইনকামের ১০ টি উপায়-০১

>>আপনিও করতে পারেন লাখ টাকা ইনকাম (অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ধারনা)

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়


অনলাইন আয়ের বিশাল এক ক্ষেত্র অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আলাদা একটি ক্ষেত্র হলেও ব্লগিং -এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কিত। নবীনদের কাছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নতুন কোন শব্দ। তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। এক কথায় আমি আপনাকে বলতে পারি, কোন প্রতিষ্ঠানের পন্য কমিশনের বিনিময়ে অনলাইনে বিক্রি করিয়ে দেয়াই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এখন প্রশ্ন, ব্লগিং এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সম্পর্কটা কি? ধরুন, আপনার সফটওয়্যার বিষয়ক কোন ব্লগটি আছে। সেখানে যথেষ্ট ভিজিটরসও আছে। তাহলে আপনি কোন সফটওয়্যার কোম্পানির প্রিমিয়াম সফটওয়্যার কমিশনের মাধ্যমে অনলাইনে সেল করার চুক্তি করলেন। আর সে মোতাবেক, আপনার ব্লগটিতে ঐ অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টটি সেল করার জন্য টিউন লিখলেন অথবা বিজ্ঞাপন দিলেন। আর সেখান থেকে যে পরিমাণ সেল হবে সে অনুযায়ী চুক্তি মোতাবেক কমিশন আপনি পেয়ে যাবেন। আর এটাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বর্তমানে ব্লগ থেকে আয়ের জন্য এক ধরনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হয়েছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

স্পন্সরড টিউনের মাধ্যমে আয়


আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হয়ে থাকেন এবং আপনার ব্লগটি জনপ্রিয় একটি ব্লগ হয়ে থাকে। তাহলে স্পন্সরড টিউনও হতে পারে আপনার স্মার্ট আয়ের অন্যতম একটি মাধ্যম। স্পন্সরড টিউন সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাদের জন্য বলি, আপনার ব্লগে কোন প্রতিষ্ঠান অর্থ পরিশোধের বিনিময়ে তাদের কোন টিউন প্রকাশ করলে সেটাকেই বলে স্পন্সরড টিউন। স্পন্সরড টিউনকে পেইড টিউনও বলা হয়ে থাকে। তবে জনপ্রিয় ব্লগগুলোতেই সাধারণত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সরড টিউন দিতে আগ্রহী। তাই জনপ্রিয় ব্লগ ছাড়া কোন ব্লগে যেকোন প্রতিষ্ঠান স্পন্সরড টিউন দেয় না।

>>বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ইনকামের সেরা ১০ উপায়

নিজস্ব সার্ভিস সেল করে আয়


এটিও প্রফেশনাল ব্লগারদের আয়ের একটি মাধ্যম। ধরুন, আপনি একজন ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট।তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে আপনি ব্লগিং করেন। আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সংক্রান্ত টিউটোরিয়াল, টিপসে আপনার ভিজিটরসদের কাছে আপনি জনপ্রিয় হয়ে গেছেন। এরকম অবস্থায় আপনার সামনে নিজস্ব সার্ভিস সেল করে আয়ের রাস্তাটি খুলবে! তখন আপনি চাইলে আপনার ব্লগে ভিজিটরসদের কাছে ওয়ার্ডপ্রেস সংক্রান্ত বিভিন্ন সার্ভিস অফার করতে পারেন। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন।

>>গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এবং কেন করবেন?

>>গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান

ব্লগিং থেকে আয়ের সম্ভাবনা এবং শেষ কথা

বর্তমানে অনলাইন যুগে একটি স্বাধীন পেশা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তাই এই প্রফেশনে ইনকামটাও অনেক স্মার্ট! আপনিও বেছে নিতে পারেন এই সময়োপযোগী অনলাইন পেশাটি এবং ক্যারিয়ার গড়তে পারেন ব্লগিং -এ। ব্লগিং করে রয়েছে আয়ের অপার সম্ভাবনা। তবে আপনাকে হতে হবে অনেক প্রফেশনাল একজন ব্লগার।

এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আমার ব্লগে আলোচনা করব তাই পরবর্তী টিউন পেতে চোখ রাখুন আমার ব্লগে। আপনার প্রতি শুভ কামনা রেখে শেষ করছি আজকের টিউন।

আরো জানতে পড়ুন... এখানে

অনলাইনে ইনকামের এদিক সেদিক। কোন পথ আপনার জন্য সঠিক?[পর্ব-০১]

অনলাইনে ইনকামের এদিক সেদিক। কোন পথ আপনার জন্য সঠিক?[পর্ব-২]-ব্লগ থেকে ইনকাম

অনলাইনে ইনকামের এদিক সেদিক। কোন পথ আপনার জন্য সঠিক?[পর্ব-৩]- ওয়ার্ডপ্রেস

অনলাইনে ইনকামের এদিক সেদিক। কোন পথ আপনার জন্য সঠিক?[পর্ব-০৪]- এসইও

অনলাইনে ইনকামের এদিক সেদিক। কোন পথ আপনার জন্য সঠিক?[পর্ব-০৫]- ফরেক্স মার্কেটিং

অনলাইনে ইনকামের এদিক সেদিক। কোন পথ আপনার জন্য সঠিক?[পর্ব-০৬]- গ্রাফিক্স ডিজাইন 

No comments:

Powered by Blogger.